শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নবীনগরে বিদ্যালয়ের ছাঁদ ধসে ছাত্র ও শিক্ষক আহত

আজকের কুমিল্লা ডট কম :
মে ১, ২০১৮
news-image

মো. দেলোয়ার হোসেন, নবীনগর:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়নের ফতেহপুর উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন জরাজীর্ণ ভবন ছাঁদের প্লাষ্টার ধসে পড়ছে।

শনিবার (২৮/০৪) ওই জরাজীর্ণ ভবনে ৩য় শ্রেণীর ‘বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়’ বিষয়ে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ছাঁদের প্লাষ্টার ধসে পড়ে কয়েকজন ছাত্র/ছাত্রী ও শিক্ষক সামান্য আহত হয়েছেন।

সোমবার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে দূর্ঘটনার বিবরণ তুলে ধরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লিখিতভাবে অবগত করিয়েছেন। ১৯৩৭ সালে এই প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এটি সরকারিকরণ করা হয়। ১৯৯৫ সালের দিকে স্কুলের ভবনটি নির্মাণ করা হয়। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে বর্তমানে জরাজীর্ণ অবস্থায় পরিনত হয়েছে। প্রতিটিরুমের ছাঁদের কংক্রিট প্লাষ্টার ধসে রড বেড়িয়ে গেছে। ২০০৮ সালে এলজিইডি থেকে পশ্চিমাংশে দুইটি ক্লাসরুম বিশিষ্ট একটি বিল্ডিং নির্মাণ করা হয়। সেটিতে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর ক্লাস করা হয়। বাধ্য হয়ে জরাজীর্ণ ভবনে ১ম, ২য় ও ৩য় শ্রেণীর কোমলমতি শিশুদের ক্লাস নিতে হচ্ছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোমলমতি শিশুরা লেখা পড়া করছে। প্রায় প্রতিদিনই এসব কনক্রিট প্লাষ্টার ধসে পড়ার ঘটনা ঘটছে। দূর্ঘটনা কবলিত ক্লাসরুমের ফজলুল হক, মিতা, জাহিদুন, লিমন কমলমতি এসব শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা প্রতিনিয়তই এসব দূর্ঘটনার শিকার হই, আমরা ভয়ে ভয়ে থাকি, কণক্রিট ধসে আমাদের শরীরে পরে। স্কুলের সিনিয়র সহকারি শিক্ষক ফরিদা বেগম বলেন, এই স্কুলে ২৬ বছর ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই জরাজীর্ণ ভবনে শিশুদের নিয়ে ক্লাস করে আসছি, অনেকবার এ দূর্ঘটনা ঘটেছে এতে অনেক ছাত্র/শিক্ষক আহতও হয়েছে। সিনিয়র শিক্ষক মনিরানি শীল বলেন, আমি ১৫ বছর ধরে এ স্কুলে শিক্ষকতায় এই ভয়ংকর পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে কোমলমতি শিশুদের পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছি, ভয়ে ভয়ে থাকতে হয় কখন পুরো বিলডিংটি সম্পূর্ণ ধসে পড়ে।

নবযোগদানকৃত স্কুলের প্রাধান শিক্ষক রাশিদা আক্তার বলেন, আমি এ মাসের ১১ তারিখে এ স্কুলে যোগদান করেছি। ওই দিন পরীক্ষা চলাবস্থায় দুপুরে এ দূর্ঘটনাটি ঘটে। আমি আমার উধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এ দুর্ঘটনার বিষয়টি অবগত করিয়েছি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকের কাছে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব কোমলমতি শিশুদের জীবনের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে নিরাপদ পাঠদানের ব্যবস্থা করে নতুন ভবন নির্মানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শরিফ রফিকুল ইসলাম বলেন, দরখাস্ত পেয়েছি, বিষয়টি অবগত হলাম যথাযথ প্রক্রিয়ায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে ।

আর পড়তে পারেন