বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’

আজকের কুমিল্লা ডট কম :
অক্টোবর ১০, ২০১৮
news-image

 

ডেস্ক রিপোর্টঃ

বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’ আরও শক্তি সঞ্চয় করে বাংলাদেশ ও ভারত উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে অগ্রসর হতে পারে। প্রবল আকারের এই ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রমের সম্ভাবনা রয়েছে।

১০ অক্টোবর, বুধবার সকালে আবহাওয়া অধিদফতর এ তথ্য জানিয়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড়টি মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮০০ কিলোমিটার দূরে থাকলেও তার প্রবলতা, ব্যাপকতা এবং আকারের কারণে সতর্ক সংকেত বাড়ানো হয়েছে। সমুদ্র বন্দরগুলোতে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখানো হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশেও আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে। ১১ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) রাতে বা ১২ অক্টোবর (শুক্রবার) ভোরে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

ভারতের উড়িষ্যা-অন্ধ্রপ্রদেশ-পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশের খুলনা, সুন্দরবন হয়ে গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর অঞ্চলের উপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি বয়ে যেতে পারে। অবশ্য স্থলে আসার পর সেটি দুর্বল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবুও মানুষের যাতে ক্ষতি না হয়, সে জন্য আগেই ৪ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতরের সর্বশেষ (১০ নম্বর) বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়া আকারে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা এবং পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় তিতলির প্রভাবে ভারতের উড়িষ্যা, অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। প্রবল বর্ষণে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কাও করেছে স্থানীয় আবহাওয়া অধিদফতর। পাশাপাশি স্কুল-কলেজও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

আর পড়তে পারেন