বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

দাউদকান্দিতে যুবদল নেতা এখন যুবলীগের আহবায়ক !

আজকের কুমিল্লা ডট কম :
সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৯
news-image

 

স্টাফ রিপোর্টারঃ
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার মারুকা ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক মোস্তাক মেম্বার এখন যুবলীগের আহবায়ক ।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক আনোয়ার হোসেনসহ দুই যুগ্ন আহবায়ক স্বাক্ষরিত কমিটিতে মোস্তাক মেম্বারকে আহবায়ক করে ২২ সদস্যের এ কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

দলীয় সূত্র জানায়, দাউদকান্দি উপজেলা যুবলীগের দুই যুগ্ন আহবায়ক হেলাল মাহমুদ ও মেহেদি হাসান সুমন ২২ সেপ্টেম্বর রোববার উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক ও উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য মাজারুল সরকারকে আহবায়ক করে ২১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করেন। পরদিন আহবায়ক আনোয়ার হোসেন ও উল্লেখিত দুই যুগ্ন আহবায়কসহ তিনজন যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক মোস্তাক মেম্বারকে আহবায়ক করে ২২ সদস্যের আরেকটি কমিটি ঘোষণা করেন। এ কমিটি ঘোষণার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ সোস্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে।

এ নিয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তৃণমূল নেতারা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার যখন সারাদেশে আ’লীগ ও অংগ সংগঠনে অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত শুদ্ধি অভিযান চালানোর নির্দেশে দিয়েছেন। ঠিক এসময় এসময় মারুকা ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ন আহবায়ককে ওই ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক ঘোষণা করা হলো।

উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য মাজারুল সরকার বলেন, এমপি স্যারের সাথে কথা বলে হেলাল ও সুমন আমাকে আহবায়ক করেছিলো। আনোয়ার ভাই আমাকে বলে যে কমিটি অনুমোদন দিতে আমাদের কিছু খরচ লাগে, আমি খরচ দিতে অস্বীকার করায় পরদিন আমাকে বাদ দিয়ে যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক মোস্তাক মেম্বারকে আহবায়ক করে আনোয়ার ভাই কমিটি ঘোষণা করেন।

জেলা ছাত্রলীগের সাবেক এই সদস্য আক্ষেপ করে বলেন, একসময় ছাত্রলীগ করতে গিয়ে যাদের হাতে মাইর খেয়েছি, হামলা মামলার শিকার হয়েছি, টাকার বিনিময়ে আমাকে বাদ দিয়ে তাদেরকে দিয়ে কমিটি করা হচ্ছে। এখানে আওয়ামীলীগকে ধ্বংস করা গভীর ষড়যন্ত্র চলছে । আমি জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।

মোস্তাক মেম্বার বলেন, আমি একজন সামাজিক লোক, সমাজ সেবা করাই আমার কাজ। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিলো তখন যুবদল করে সমাজ সেবা করেছি, এখন আ’লীগ ক্ষমতায় তাই সমাজ সেবা করার জন্যই যুবলীগ করছি। কত টাকার বিনিময় আহবায়ক হয়েছেন এমন প্রশ্ন করলে বলেন, ভাই আপনারাতো জানেন কমিটি হলে লোকজন নিয়ে যেতে হয় , নেতাদের আপ্যায়ন করতে হয় তাই কিছুতো খরচ হবেই।

উপজেলা যুবলীগের অহবায়ক আনোয়ার হোসেন টাকা পয়সা লেনদেনের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মোস্তাক মেম্বার এর আগে মারুকা ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য ছিলেন। তাঁর আগে সে বিএনপি করতো এখন সে যুবলীগের সক্রিয় লোক। অনেক কেন্দ্রীয় নেতারাও দল বদল করে । তাই স্থানীয় নেতাদের সাথে আলোচনা ও তাদের সুপারিশের ভিত্তিতেই মোস্তাক মেম্বারকে আহবায়ক করা হয়েছে। আর আহবায়কের স্বাক্ষর ছাড়া কোন কমিটি অনুমোদন হয় না। যুগ্ন আহবায়ক হেলাল মাহমুদ ও মেহেদি হাসান সুমন আমার সাথে আলোচনা ছাড়াই স্বাক্ষর করেছে। তাই পরদিন সবার সাথে আলোচনা করেই আমরা কমিটি ঘোষণা করেছি।

আর পড়তে পারেন