বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

টাউন হল সুপার মার্কেটে পর্নোগ্রাফি ও পাইরেসি চক্রের ১৯ সদস্য গ্রেফতার

আজকের কুমিল্লা ডট কম :
ডিসেম্বর ৬, ২০১৭
news-image
স্টাফ রিপোর্টারঃ
কুমিল্লায় বিপুল পরিমাণ পাইরেটেড, অশ্লীল সিডি এবং সিডি তৈরির সরঞ্জামাদি উদ্ধারসহ পর্নোগ্রাফি ও পাইরেসি চক্রের ১৯ জন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। নগরীর কেন্দ্রস্থল কান্দিরপাড় টাউন হল সুপার মার্কেটে র‌্যাবের কুমিল্লা ও নারায়ণগঞ্জের দুটি টিম এবং চলচ্চিত্রে অশ্লীলতা ও পাইরেসি বিরোধী ট্রাস্কফোর্স মঙ্গলবার রাতে টানা সাড়ে ৩ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
কুমিল্লাস্থ র‌্যাব-১১ সিপিসি-২ এর নগরীর শাকতলাস্থ কার্যালয়ে বুধবার বেলা ১১টায় সংবাদ সম্মেলন করে র‌্যাবের কর্মকর্তারা জানান, অডিও ভিডিও পাইরেসি ও চলচ্চিত্রে অশ্লীলতার বিরুদ্ধে র‌্যাবের টাস্কফোর্সের অভিযান চলমান রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাবের কুমিল্লা ও নারায়ণগঞ্জের দুটি টিম এবং চলচ্চিত্রে অশ্লীলতা ও পাইরেসি বিরোধী ট্রাস্কফোর্স কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় টাউন হল সুপার মার্কেটে মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে পর্নোগ্রাফি ও পাইরেসি চক্রের ১৯ জনকে গ্রেফতার করে এবং তাদের নিকট থেকে কম্পিউটারের ২০টি মনিটর, ২০টি সিপিইউ, ১টি ল্যাপটপ, ১টি হার্ডডিস্ক, ৬টি ক্যাবল ও ২ হাজার ৪৯৫টি পাইরেটেড ও অশ্লীল অডিও ভিডিও সিডি উদ্ধার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন- জেলার আদর্শ সদরের তারেক, কামরুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম মিশু, জনি সাহা, আবদুর রহিম, রোমান, অজিত কুমার দে, রাফাত, খোকন মাহমুদ, মোহাম্মদ আলী রিয়াদ, মাহমুদ হাসান ছোটন, বুড়িচংয়ের সুমন, সদর দক্ষিণের মহিউদ্দিন সোহাগ, বরুড়ার সুজন চন্দ্র দাস, সৌরভ দাস, চান্দিনার শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, অর্জুন চন্দ্র দেবনাথ, লাকসামের সূর্য চক্রবর্তী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের নয়ন দত্ত।
র‌্যাব-১১ সিপিসি-২ কুমিল্লার কমান্ডার মেজর আরিফুর রহমান জানান, গ্রেফতারকৃত ও তাদের সহযোগিরা অশ্লীল ছবির সিডি তৈরী করে বাজারে ছাড়ে এবং দেশের বিভিন্ন নায়ক-নায়িকা ও ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ছবি সংগ্রহ করে ফটোশপে এডিটিংয়ের মাধ্যমে সিডি কভার হিসেবে ব্যবহার করে। এসব কারণে দেশের ফিল্ম ও মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে, অশ্লীলতা প্রচারের মাধ্যমে যুব সমাজকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে এবং যুব সমাজের মধ্যে বিকৃত রুচির প্রচার ও প্রসার লাভ করছে। ফিল্ম ও মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি এবং শিক্ষার্থীসহ যুব-তরুণ সমাজকে রক্ষার জন্য প্রতিটি জেলায় এ ধরণের অভিযান চলছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

আর পড়তে পারেন