কুমিল্লা নাঙ্গলকোটে জরাজীর্ণ ভবনেই চলছে পোষ্ট অফিসের কার্যক্রম
স্টাফ রিপোর্টারঃ
নাঙ্গলকোট উপজেলা পোস্ট অফিসে প্রায় গত দশ বছর যাবত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় এ ভবনে অফিস করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পোস্ট অফিসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিকট বার বার লিখিতভাবে জানালেও কোনো কাজ হচ্ছেনা।
সরেজমিনে দেখা যায়, পোস্ট অফিস ভবনের ছাদ থেকে নিয়মিত পলেস্তারা খসে পড়া, দরজা, জানালা ভাঙ্গাচুরা, বর্ষাকালে ছাদ ছুঁড়ে বৃষ্টির পানিতে মূল্যবান কাগজপত্র নষ্ট হওয়া, ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটিতে বৈদ্যুতিক ওয়ারিং করতে না পারায় বৈদ্যুতিক তারগুলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকায় যে কোন সময় দুর্ঘটনায় প্রাণহানির অশংকা রয়েছে।
জানা যায়, এ অফিসে অফিসিয়াল, ব্যবসায়িক চিঠিপত্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রশ্নপত্র, পরীক্ষার কাগজপত্র প্রেরণ, বেকার যুবকদের চাকুরির ইন্টারভিউ, এ্যাপয়নমেন্ট কার্ড আসাসহ সাধারণ চিঠিপত্রের সেবার পাশাপাশি ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক, পরিবার সঞ্চয়পত্র, মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র, পেনশনার সঞ্চয়পত্র, পিক্সড ডিপোজিট, সাধারণ সঞ্চয় হিসাব, ডাক জীবন বীমা, পোস্টাল অর্ডার, মোবাইল মানি অর্ডার ও সাধারণ মানি অর্ডারের সেবা প্রদান করা হয়ে থাকে। এছাড়া পোস্ট অফিসটির অধীনে একটি সাব পোস্ট অফিসসহ ১৬টি শাখা পোস্ট অফিস রয়েছে। পোস্ট অফিসটির মাধ্যমে প্রতিমাসে কয়েক লাখ টাকা রাজস্ব আয় হচ্ছে।
পোস্ট অফিসটিতে দু‘জন পোস্টম্যান, একজন প্যাকার এবং তিনজন অপারেটরের পদ শূণ্য রয়েছে।
এ ব্যাপারে পোষ্ট অফিসে আসা গ্রাহক আব্দুল কাদের, শরীফ ও শাহিন জানান, ভবনটি ঝুঁকিপূণ অবস্থার মধ্যে রয়েছে। ভবনটি সংস্কারের দাবি জানান।
এ ব্যাপারে কুমিল্লা বিভাগীয় ডেপুটি পোস্ট মাস্টার জেনারেল মো. মোস্তফা কামাল বলেন, ডাক অধিদপ্তরের অধীনে জরাজীর্ণ ডাকঘর পুর্ণবাসনের প্রকল্পের আওতায় বর্তমান পাঁচটি পোস্ট অফিস ভবন নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।
নাঙ্গলকোট পোস্ট অফিসের জরাজীর্ণ ভবনের বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আমরা পর্যায়ক্রমে নাঙ্গলকোটের জরাজীর্ণ উপজেলা পোস্ট অফিস ভবনটি মেরামত অথবা পূর্ণনির্মাণের কাজ করবো।