শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কুমিল্লায় প্রচারণার মাঠ আ’লীগের দখলে, প্রেস ব্রিফিং আর অভিযোগেই ব্যস্ত বিএনপি

আজকের কুমিল্লা ডট কম :
ডিসেম্বর ২৫, ২০১৮
news-image

ইমতিয়াজ আহমেদ জিতু ঃ
কুমিল্লার ১১টি আসনে নির্বাচনী প্রচারণায় সব দিক থেকে সরব আ’লীগের প্রার্থীরা। পথ সভা, জনসভা, উঠান বৈঠক, নির্বাচনী অফিস স্থাপন, মাইকিং-পোষ্টারিংয়ের ক্ষেত্রে নৌকা প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছে। অপর দিকে প্রচারণায় বেশ পিছিয়ে বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা। বিএনপির প্রার্থীদের অভিযোগ আ’লীগ প্রার্থীরা আমাদের অফিস করতে দেয়নি। কিছু যা করা হয়েছে তা ভাংচুর করা হয়েছে, পোষ্টার ছিড়ে ফেলা হয়েছে, মাইকিং করতে দেয়া হচ্ছে না, নির্বাচনী ভোটকেন্দ্রের এজেন্ট, নেতাকর্মীদের গায়েবী মামলায় গ্রেফতার করা হচ্ছে। অপর দিকে আ’লীগের প্রার্থীরা বলছে, বিএনপি সব সময় দোষারোপের রাজনীতি করে। আসলে তাদের সাংগাঠনিক কাঠামো অনেকটাই দুর্বল । তাই তারা মাঠে নামতে পারছে না। কুমিল্লার ১১টি আসনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও স্বতন্ত্রসহ ৮৪ জন প্রার্থী নির্বাচন করছেন।

কুমিল্লা-১ (দাউদকান্দি ও মেঘনা)ঃ
এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়া ও বিএনপির ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এ আসনে আ’লীগের প্রার্থী সুবিদ আলীর পাশাপাশি বিএনপির প্রার্থী ড. মোশাররফও নির্বাচনী প্রচারণায় সরব রয়েছেন। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে।

বিএনপির প্রার্থী ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, দাউদকান্দি ও মেঘনায় আ.লীগ প্রার্থীগণ বিএনপির স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে গায়েবী মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। তাদের যুবলীগ ও ছাত্রলীগ ক্যাডাররা প্রচারে বাধার সৃষ্টি করছে, হুমকি-ধমকি দিচ্ছে, রাতের অন্ধকারে আমাদের ব্যানার ও পোষ্টার ছিড়ে ফেলছে। বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি অফিস ভাংচুর করছে। এগুলো গণতান্ত্রিক আচরণ নয়।

আ’লীগের প্রার্থী সুবিদ আলী ভূইয়া বলেন, এ সরকার অনেক উন্নয়ন করেছে। তাই জনগণ নৌকাকে আবার ভোট দিবে। আর খন্দকার মোশাররফ সাহেব মিথ্যে অভিযোগ করছেন। এখানে সবাই সমানভাবে প্রচারণা চালাচ্ছেন।

কুমিল্লা-২ (হোমনা ও তিতাস)ঃ
এ আসনে আ’লীগের প্রার্থী সেলিমা আহমাদ মেরী। তিনি প্রতিদিন নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ আসনেও বেশ নির্বাচনী প্রচারণা করছেন বিএনপি প্রার্থী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

বিএনপির প্রার্থী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘হোমনায় ১৪৪ ধারা জারি করে আমার দুটি সভা পন্ড করে দেওয়া হয়েছে। এখানে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে নানা কাল্পনিক অভিযোগে ৪টি মিথ্যা ও গায়েবী মামলায় ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিতাস উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১৭৬ জনকে আসামী করা হয়েছে। মিথ্যা মামলায় ঘরছাড়া এসব নেতা গণসংযোগে অংশগ্রহণ করতে পারছে না।

আ’লীগের প্রার্থী সেলিমা আহমেদ জানান, আমি যেখানেই যাচ্ছি সেখানেই ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। আশা করি জনগণের ভোটে আমার বিজয় সুনিশ্চিত হবে।
এদিকে আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী বর্তমান সাংসদ আমির হোসেনও প্রচারণায় রয়েছেন।

কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর)ঃ
এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন। বিএনপির প্রার্থী কে এম মজিবুল হক। প্রচারণায় তৎপর রয়েছেন আ’লীগের প্রার্থী। অর্ন্তকোন্দল ভুলে মাঠে নেমেছেন জেলা (উত্তর) আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকার। প্রচারণা চালাচ্ছেন বিএনপির প্রার্থী কে এম মুজিবুর।

কে এম মুজিবুর জানান, প্রচারণার প্রথম দিনে মুরাদনগর থানার সামনে আমার গাড়ি বহরে হামলা হয়। পরে উল্টো আমার ভাই (বিদেশ অবস্থানরত ) জুন্নুনের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ আনা হয়। আমার নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। ভোটারদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। এখানে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বলতে কিছু নেই।

আ’লীগের প্রার্থী ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন জানান, এখানে বিগত ১০ বছর ধরে বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন। জনগণের সাথে তাদের কোন সম্পর্ক নেই। তাই তাদের ডাকে জনগণ মাঠে নামছে না। এখানে তাদের কোন হয়রানি করা হচ্ছে না। এখানে গত ৫ বছর আমরা অনেক উন্নয়ন করেছি। তাই আমাদের বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।

কুমিল্লা-৪ঃ
এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সাংসদ রাজী মোহাম্মদ ফখরুল। তিনি মাঠে সরব। অপরদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের হয়ে ধানের শীষ নিয়ে লড়ছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ রব) আবদুল মালেক রতন। এখানে কোন হয়রানি না থাকলেও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী মালেক রতনকে এখনো প্রচারণায় দেখা যায়নি। এ আসনে বিএনপির নেতাকর্মীরা মাঠে সক্রিয় নয়। যেহেতু তাদের প্রার্থী মনজুরুল আহসান মুন্সি মনোনয়ন পাননি। তাই অনেকটাই টেনশনমুক্ত আ’লীগ দলীয় প্রার্থী।

আ’লীগের রাজী মোহাম্মদ ফখরুল জানান, নৌকা মার্কার বিজয় হলে দেশের ব্যাপক উন্নয়ন হয়। জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের যে উন্নয়ন করেছেন সেই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে জনগণ নৌকায় ভোট দিয়ে বিজয় ছিনিয়ে আনবে।

কুমিল্লা-৫ঃ
এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক আইনমন্ত্রী ও বর্তমান সাংসদ আবদুল মতিন খসরু এবং বিএনপির প্রার্থী অধ্যক্ষ মো. ইউনুস। এ আসনে সম্প্রতি বিএনপির প্রার্থীর কুমিল্লা নগরীর বাড়িতে হামলা হয়েছে। দুবৃর্ত্তরা বাড়ির সামনে থাকা একটি মাইক্রো ভাংচুর করেছে এবং বাড়ির দিকে লক্ষ্য করে ১০/১২ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করেছে।

বিএনপির প্রার্থী অধ্যক্ষ মো. ইউনুস বলেন, নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর জন্যই আমার বাড়িতে হামলা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা প্রচারণা চালাতে দিচ্ছে না।’
অপরদিকে আ’লীগের আব্দুল মতিন খসরু জানান, আমি সুস্থ্য ধারার রাজনীতিতে বিশ্বাসী। প্রতিহিংসার রাজনীতি আমি করি না। এ আসনে কোন হয়রানি হচ্ছে না।

কুমিল্লা-৬ (আদর্শ সদর, সিটি করপোরেশন ও সেনানিবাস এলাকা)ঃ
এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাংসদ হাজী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার ও বিএনপির প্রার্থী হাজী আমিন উর রশীদ ইয়াছিন। প্রতিদিন অসংখ্য উঠোন বৈঠক, মত বিনিময় সভা করছেন এমপি বাহার। তৈরি করেছেন থিম সং “ কুমিল্লা এগুলো, বাংলাদেশ এগুবে”। মাইকিং, পোস্টারিং, গণসংযোগে নৌকার উৎসব চলছে। অপরদিকে কৌশলী প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন বিএনপি প্রার্থী হাজী ইয়াছিন।

হাজী ইয়াছিন জানান, আমার দলীয় ও নির্বাচনী কর্মীদের নামে একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার ও পুলিশ হয়রানী চলছেই। বিভিন্ন স্থানে নেতাকর্মীদের উপর হামলা, প্রচারের মাইক ভাংচুর, নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করছে বিরোধীরা । তাই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের জন্য অতি উৎসাহি পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করার জন্য জেলা রির্টানিং কর্মকর্তাকে অনুরোধ করছি।

সাংসদ হাজী বাহার জানান, আমরা যে পরিমাণ উন্নয়ন করেছি, জনগণ তার সুফল পাচ্ছে। আশা করি জনরায় আমার পক্ষেই আসবে। আমি কুমিল্লাকে সন্ত্রাসমুক্ত করেছি। কুমিল্লাবাসি এখন শান্তিতে বসবাস করছে।

কুমিল্লা-৭ (চান্দিনা) ঃ
এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আলী আশরাফ ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ । নির্বাচনী প্রচারণার পর দুগ্রুপের মধ্যে বেশ কয়েকটি পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। ককটেল বিস্ফোরণ, অফিস ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।

রেদোয়ান আহমেদ জানান, পুলিশ দিয়ে আমার নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে। আমাদের ২০ নেতাকর্মীকে জেলে পাঠানো হয়েছে। আ’লীগ নিজেরাই তাদের অফিসে ভাংচুর করে, ককটেল বিস্ফোরণ করে আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আবার উল্টো মামলা দিচ্ছে। প্রতি পদে পদে আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে।

আ’লীগ প্রার্থী আলী আশরাফ জানান, এ আসনে শিক্ষা হার উল্লেখ্য করার মত। শতভাগ বিদ্যুতের সুবিধা পাচ্ছে চান্দিনাবাসি। তাই আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।

কুমিল্লা-৮(বরুড়া)ঃ
এ আসনে বিএনপির প্রার্থী জাকারিয়া তাহের সুমন, আ’লীগের প্রার্থী নাছিমুল আলম চৌধুরী নজরুল ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী বর্তমান সাংসদ নুরুল ইসলাম মিলন। তবে মূল লড়াই হচ্ছে নাছিমুল আলম চৌধুরী নজরুল ও জাকারিয়া তাহের সুমনের মধ্যে। এ আসনে নজরুল প্রচারণায় বেশ তৎপর। অপর দিকে প্রচারণায় জাকারিয়া তাহের সুমনের তৎপরতা তেমন নেই।

বিএনপি সমর্থিতরা বলছেন, এখানে আমাদের নির্বাচনী অফিস, নেতাকর্মী-সমর্থকদের বাড়িঘর, দোকানপাট ভাংচুর করা হচ্ছে। গ্রেফতারি হয়রানি চলছে। তাই আমরা বেশ আতংকিত। ভোটাররা ভোট দিতে পারলে আমরা সহজেই জয়লাভ করবো। এদিকে আ’লীগের নেতাকর্মীরা জানান, বিএনপি মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে। বরুড়ার উন্নয়নের গতিকে তরান্বিত করতে মানুষ নৌকা প্রতিকে ভোট দিবে।

কুমিল্লা-৯ (লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ)ঃ
এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সাংসদ তাজুল ইসলাম ও বিএনপির প্রার্থী এম আনোয়ার উল আজিম। এখানে প্রকাশ্যে বিএনপির প্রচারণা বলতে গেলে নেই। অনেকটা গোপনে প্রচারণা চালাচ্ছেন তারা। নেতাকর্মীদের মাঠে দেখা যাচ্ছে না।

বিএনপির প্রার্থী এম আনোয়ার উল আজিম জানান, এখানে নির্বাচনের পরিবেশ নেই। হামলা-ভাংচুর, নেতাকর্মীদের অবাধে গ্রেফতার চলছে। আমরা আতংকিত। আমাকে বাড়ির বাইরে বের হতে দিচ্ছে না ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা। আমি গত এক সপ্তাহ ধরে নিজ ঘরে অবরুদ্ধ ছিলাম। শনিবার ঢাকায় চলে আসছি। নির্বাচনের পরিবেশ ফিরে আসলে লাকসাম যাবো।

আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোঃ তাজুল ইসলাম জানান, আমি আবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ উপজেলাকে শহরে রূপান্তরিত করা হবে। এ আসনে অসংখ্য উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করেছি। শত শত ব্রিজ-কালভার্ট, রাস্তা-ঘাট স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদ্রাসায় উন্নয়ন করেছি। ইনশাআল্লাহ আগামীতে এমপি হলে আমার এলাকায় অসমাপ্ত সকল উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত করা হবে।

কুমিল্লা -১০ (সদর দক্ষিণ-লালমাই ও নাঙ্গলকোট)ঃ
এ আসনে আ’লীগের প্রার্থী পরিকল্পনামন্ত্রী আ ফ ম মোস্তফা কামাল ও বিএনপির প্রার্থ মনিরুল হক চৌধুরী। এখানে বিএনপির প্রার্থী মনিরুল হক চৌধুরীসহ প্রভাবশালী দুই নেতা আব্দুল গফুর ভূইয়া ও মোবাশ্বের আলম কারাগারে রয়েছেন। ফলে বিএনপি নেতৃত্ব সংকটে রয়েছে। এ আসনে মনিরুল হক চৌধুরীর মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক চৌধুরী সায়মা ফেরদৌস বাবার পক্ষে গণসংযোগ করছেন।

চৌধুরী সায়মা ফেরদৌস বলেন, যারা আমার সাথে গণসংযোগে যায়, রাতেই তাদের উপর হামলা হয়। আমার বাবার সাথেও কোন নেতাকর্মী দেখা করতে পারছেন না। সবার বাক স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। অবাধে আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে । এটা কেমন গণতন্ত্র? কার কাছে চাইবো বিচার ?

পরিকল্পনামন্ত্রী আ ফ ম মুস্তফা কামাল জানান, মনিরুল হক চৌধুরী আমাকে, আমার পরিবারের সদস্যগণসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অসংখ্য ভুয়া মামলা দিয়ে হয়রানি করেছেন। এবার জনগণ তার প্রতিদান দিবে। এবারো আমাদের বিজয় হবে।

কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম)ঃ
এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক মুজিব ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী জামায়াতের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ধানের শীষ নিয়ে লড়ছেন। এ আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের সমর্থিতরা মাঠে নেই। বলতে গেলে প্রচারণায় তাদের দেখা যায়নি।

সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের জানান, হামলা-গ্রেফতার আতংকে আমার নেতাকর্মীরা এলাকা ছাড়া। কোন নির্বাচনী অফিস করতে পারিনি। কোন পোষ্টার লাগানো যায়নি। আমার নির্বাচনী এজেন্টদের অবাধে গ্রেফতার করা হচ্ছে। বাড়িতে হামলা-ভাংচুর করা হচ্ছে। এখানে এক ভাগ লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই।

আ’লীগের প্রার্থী মুজিবুল হক মুজিব বলেন, চৌদ্দগ্রামবাসি জামায়াত-শিবিরকে প্রত্যাখান করেছে। চৌদ্দগ্রামের জনগণ আর অগ্নি সন্ত্রাসদের ভোট দিবে না। আওয়ামী লীগের বহু নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে জামায়াত-শিবিররা। হামলা-মামলা দিয়ে বাড়িঘরে থাকতে দেয়নি আমাদের। স্বাধীনতাবিরোধীদের চৌদ্দগ্রামবাসি আর চায় না।

আর পড়তে পারেন