শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কুবিতে প্রশাসনের উদাসীনতায় শুরুতেই হোঁচট খেলো ‘মেগা প্রকল্প’

আজকের কুমিল্লা ডট কম :
জানুয়ারি ২২, ২০১৯
news-image

কুবি প্রতিনিধি:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) প্রশাসনের উদাসীনতার কারণে শুরুতেই বড় ধরনের হোঁচট খেলো সম্প্রতি পাওয়া সাড়ে ১৬’শ কোটি টাকার মেগা প্রকল্প। বিশ্ববিদ্যায়য়ের কর্তাব্যক্তিদের উদাসীনতায় সময়মত কাগজপত্র জমা না দেয়ায় প্রকল্পের ১ম ধাপের প্রায় ৩৮৫ কোটি টাকা প্রায় তিন মাস পেরুলেও তা পাওয়া যায়নি বলে জানা যায়।

জানা যায়, গেল বছরের অক্টোবরে ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন’ শিরোনামে ১ হাজার ৬৫৫কোটি ৫০ লক্ষ টাকার মেগা প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে সরকারের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। প্রকল্পটি ২০১৮ সালের নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে ২০২৩ সালের জুন মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করার কথা। প্রকল্পের এই অর্থ বিভিন্ন পর্যায়ে বা ধাপে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ছাড় দিয়ে থাকে। এর জন্য প্রকল্প পাওয়া প্রতিষ্ঠান যথাযথ প্রক্রিয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অর্থ ছাড় দেওয়ার আবেদন করলেই ধাপের অর্থ ছাড় দেওয়া হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের এ প্রকল্পটির ১ম পর্যায় বা ধাপের প্রায় ৩৮৫ কোটি টাকার জন্য সময়মত কাগজপত্র জমা না দিতে পারায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ টাকা ছাড় দেওয়া হয়নি। ফলে প্রকল্পের সময়সীমার মধ্যে ৩ মাস অতিবাহিত হলেও কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদাসীনতা ও অদক্ষতার কারনেই প্রকল্পের ১ম পর্যায়ের অর্থ যথা সময়ে পাওয়া যায়নি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা বিভাগের যুগ্ম-প্রধান কাজী মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘যথাযথভাবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ টাকার জন্য আবেদন করতে পারেনি। তবে এ টাকা তারা চাইলে ২য় ধাপে যুক্ত করে নিতে পারবে।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (চলতি দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোঃ আবু তাহের বলেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে কাগজপত্র প্রস্তুত হয়ে আসতে সময় লাগায় প্রকল্পের প্রথম ধাপের টাকার জন্য আবেদন করতে পারিনি। আমরা দ্বিতীয় ধাপে প্রথম ধাপের টাকাসহ এক সাথে পেয়ে যাব।’
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন কর্তাব্যক্তিদের উদাসীনতার করণে নানা সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। জানা যায়, ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে উন্নয়ন প্রকল্প-২ নামে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ৬৮ কোটি ৫৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ পায়। এ প্রকল্পে বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের কথা রয়েছে। প্রকল্পটি চলতি বছরের জুনে শেষ হবে বলে জানা যায়। এ প্রকল্পে অধীনে এখন বেশ কয়েকটি কাজ চলমান থাকলেও তা মন্থর গতিতেই চলছে। এর মধ্যে ছাত্রীদের জন্য একটি আবাসিক হল নির্মানাধীন রয়েছে। আগের উপাচার্য ২০১৭ এর ৩ ডিসেম্বর মেয়াদ শেষ করে চলে যাওয়া পূর্বে এ হল নির্মানের অফিস আদেশ দিয়ে যান। কিন্তু বর্তমান উপাচার্য গত বছরের ৩১ জানুয়ারি যোগদান করার পরও তা চলছে কচ্ছপ গতিতে। শিক্ষক ক্লাব কাম ডরমেটরি নামে একটি ভবনের অফিস আদেশ পূর্বের উপাচার্য করে গেলেও বর্তমান উপাচার্য তার এক বছরের মেয়াদে ভূমি সমান করা ছাড়া কিছুই করতে পারেননি।

আর পড়তে পারেন