বুধবার, ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কবর খুঁড়ে বের করা হতে পারে দিয়েগো ম্যারাডোনাকে

আজকের কুমিল্লা ডট কম :
ডিসেম্বর ১১, ২০২০
news-image

 

স্পোর্টস ডেস্ক :

এখন কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন আইনজীবীরা। জোর লড়াই লাগতে চলেছে দিয়েগো ম্যারাডোনার সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে। আদালতে দাবি উঠেছে, প্রমাণ সংগ্রহের জন্য দরকার হলে ম্যারাডোনার কবর খোঁড়া হোক।

ধারণা করা হচ্ছে ম্যারাডোনার সম্পত্তির পরিমাণ ১ থেকে ৪ কোটি ডলার। আর এই বিপুল সম্পত্তির নতুন মালিক কে হবেন, তার লড়াইয়ে শুধু ম্যারাডোনার ছেলে-মেয়েরা বা সাবেক স্ত্রী-বান্ধবীরা রয়েছেন, তা নয়। লড়াইয়ে নামতে চলেছেন সাংবাদিক, চিত্রগ্রাহকরাও!

সমস্যা আরো বেড়েছে ম্যারাডোনা কোনো উইল করে না যাওয়ায়। আর্জেন্টিনার আইন অনুযায়ী একজন তার উইলে সম্পত্তির এক তৃতীয়াংশ স্ত্রী-সন্তান ছাড়া বাকিদের মধ্যে ইচ্ছেমতো ভাগ করে দিতে পারেন। কিন্তু দুই তৃতীয়াংশ স্ত্রী-সন্তানদের জন্য রাখতেই হবে।

যেহেতু ম্যারাডোনার কোনো উইল নেই, সম্পত্তির লড়াইটা আরো কঠিন হবে। যারা নিজেকে ম্যারাডোনার সন্তান বলে দাবি করছেন, কিন্তু ম্যারাডোনা তাদের কখনো স্বীকৃতি দেননি, তাদের মামলা আদালতে উঠলে ডিএনএ পরীক্ষা হবে। এ কারণে এরই মধ্যে দাবি উঠেছে, সেক্ষেত্রে এই কিংবদন্তির কবর খোঁড়া হোক।

লড়াইটা শুরু হয়েছে ম্যারাডোনা যেদিন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান, সেই ২৫ নভেম্বর থেকে। গত কয়েক বছর ধরে ম্যারাডোনার আইনজীবী হিসেবে থাকা মরিসিও দালেসান্দ্রো বলেছেন, ‘জানি না কারা কারা সম্পত্তির ভাগ চাইবেন, কিন্তু তালিকাটা লম্বা হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।’

অবশ্য ম্যারাডোনার সম্পত্তির সঠিক পরিমাণ জানা যায়নি। ফোর্বস পত্রিকার বিচারে সেটা ১ থেকে ৪ কোটি ডলার। এর মধ্যে রয়েছে জমি, বাড়ি, বিলাসবহুল গাড়ি ও গয়না। যেসব দেশে তিনি খেলেছেন বা কোচিং করিয়েছেন,সেসব দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এসব সম্পত্তি। দেশগুলোর মধ্যে আর্জেন্টিনা, স্পেন, ইতালি, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বেলারুশ, মেক্সিকো উল্লেখযোগ্য।

দালেসান্দ্রো জানিয়েছেন, ‘যারা নিজেকে ম্যারাডোনার সন্তান দাবি করবেন, তাদের দ্রুত আদালতের দ্বারস্থ হতে হবে। মনে হচ্ছে ম্যারাডোনাকে নিয়ে আদালতে মোট ৬০টি মামলা উঠবে। এর অধিকাংশ অবশ্যই মানহানির মামলা, যেগুলো এতদিন ধরে ঝুলে রয়েছে।’

তিনি আর বলেন, ‘বিভিন্ন সাংবাদিক ও ফটোগ্রাফাররা বিভিন্ন সময়ে ঠোঁটকাটা ম্যারাডোনার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন। এবার তারাও এই সাবেক ফুটবলারের সম্পত্তির ভাগ চাইবেন। বহু ব্যবসায়ী ও মহাজনের থেকে টাকা ধার নিয়েছেন ম্যারাডোনা। তারাও চুপ করে বসে থাকবেন না। কারণ টাকার অংকটা কম নয়।’

কেউ মারা গেলে তার আত্মার শান্তি কামনা করে বলা হয়, ‘রেস্ট ইন পিস’। কিন্তু ম্যারাডোনা বোধহয় শান্তিতে ঘুমোতেও পারবেন না। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে হয়ত কবর খুঁড়ে ফের বের করা হতে পারে ফুটবলের রাজপুত্রকে।

আর পড়তে পারেন