বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

হোমনায় নার্সের অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যু, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পলায়ন

আজকের কুমিল্লা ডট কম :
আগস্ট ২৯, ২০১৭
news-image

 

জাকির হোসেন হাজারি, দাউদকান্দি ঃ

কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় নার্সের অবহেলায় জেসমিন আক্তার (২৩) নামের এক প্রসূতির মৃত্যুর হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর থেকেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে ।

সোমবার (২৮ আগষ্ট) রাতে উপজেলার থানা রোডে অবস্থিত লাইসেন্সবিহীন বেসরকারী এশিয়া জেনারেল হাসপাতাল ইউনিট-২ এ ঘটনা ঘটে।

নিহত জেসমিন আক্তার (২৩) তিতাস উপজেলার উত্তর আকালিয়া (বৈদ্যার কান্দি) গ্রামের সলিমুল্লার মেয়ে ও উত্তর শ্রীনাইরকান্দি গ্রামের ওমান প্রবাসী হাবিবুর রহমান লিটন পাঠানের স্ত্রী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এই হাসপাতালে এর আগেও সিজারিয়ান অপারেশনের পর প্রসূতির পেটে গজ-কেচি রেখেই সেলাই সম্পন্ন করা হয়। পরে পুনরায় অপারেশন করে বাহির করা হয়।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জেসমিন আক্তারের প্রসব ব্যাথা শুরু হলে সোমবার রাতে হোমনা উপজেলা সদরের এশিয়া জেনারেল হাসপাতাল ইউনিট-২ এ ভর্তি করানো হয়। ওই হাসপাতালে ডিউটি অফিসারের চাকুরি করে প্রসূতির আত্মীয় মো. সুমন মিয়া। হাসপাতালে কোন ডাক্তার বা নার্স থাকায় অন্যত্র থেকে ভাড়া করে একজন নার্স এনে র্দীঘক্ষণ চেষ্টার পর ডেলিভারি করানো সম্ভব হয়। তবে নবজাতক বেঁচে গেলেও প্রসূতিকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। পরিবারের লোকজনের দাবী অদক্ষতার ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পরপরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভয়ে পালিয়ে যায়।
নিহতের আত্মীয় আবু হানিফ জানায়, আমরা ভাবির মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে আসি। এসে দেখি হাসপাতালের কেউ নেই। শুনেছি আরেক জায়গা থেকে নার্স ভাড়া করে এনে ডেলিভারি করিয়েছে। বেশি রক্ত যাওয়ায় ভাবির মৃত্যুর হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এই হাসপাতালে কোন স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ডাক্তার বা নার্স নাই। হাসপাতালের লাইসেন্সও নাই। রহস্যজনক কারণে এসব কসাইখানা টিকে থাকে আর অবহেলায় মানুষের জীবনবসান ঘটে।
হাসপাতালের লাইসেন্স আছে কিনা এবং কোন ডাক্তার বা নার্স এ ডেলিভারী করেছে টেলিফোনে এমন প্রশ্নের জবাবে হাসপাতালের এমডি মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি এখন একটু দূরে আছি। হাসপাতালে গিয়ে কাগজ-পত্র দেখে জানাতে হবে।
হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার সরফরাজ খান বলেন, বিষয়টি আমি গত রাতে শুনেছি। বর্তমানে আমি কুমিল্লাতে আছি। আমি হোমনায় এসে ভালভাবে জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

 

আর পড়তে পারেন